দেশিয় সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার হালচাল নিয়ে একটি প্রবন্ধ

মিডিয়া/সাংবাদিকরা  হল সমাজের দর্পন!
🌍 তাঁরা আয়নার ন্যায় কাজ করেন /করবেন সমাজে!তারা সঠিক ও সত্য সংবাদের  অনুবাদক মাত্র! অর্থাৎ যা সঠিক পাবেন তাই সমাজকে সময়মত জানিয়ে দেয়ার মহান দ্বায়িত্বে নিয়োজিত!!
 কিন্তু এই পেশায় নিয়োজিত অধিকাংশ  লোক ই দাজ্জাল স্বভাবের! দেশিয় টিভি চ্যানেল/নিউজ পেপার গুলো দেখলেই বুঝা যায় দ্বায়ীত্বশীলগন কতটা ভয়ংকর জন্ডিস রোগে আক্রান্ত! এক্কেবারে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুসয্যায় উপনীত হয়ে লাফাচ্ছে দিব্যি!

বর্তমান  সময়ে আমার নিজ অভিজ্ঞতা থেকে দেশীয় নিউজ পেপার গুলোকে যতটুকু অবজার্ভ করেছি তাতে একটা বিষয় অন্তত ক্লিয়ার হয়েছি যে,
আমাদের দেশের সাংবাদিকের শতকরা ৫০ ভাগ সাংবাদিক কোন না কোনভাবে  সেকুলার পন্থি & তাদের হাতকেই শক্তিশালী করছে বাহিরের ইন্দনে! আর বাকি ৫০ ভাগের মধ্যে ৪০ ভাগ ই  দাদাদের দালালিতে  & সরাসরি সরকারি এজেন্ডা বাস্তবায়নে লিপ্ত!
উপরোক্ত দুই ক্যাটাগরির সাংবাদিকদ্বয় ডাইরেক্টলি অথবা ইনডাইরেক্টলি সরকারি পৃস্থপোষকতায় লালিতপালিত হচ্ছে!!!

বাকি ১০%(বিরোধী মতাবলম্বী)  এই দুই ক্যাটাগরি   থেকে মুক্ত থাকলেও  এরা রাফেজি শিয়া & ইখুয়ানির এজেন্ডা বাস্তবায়ন আর আরব বিদ্বেষী মনোভাব অন্তরে লালন করে & সেই খায়েস অনুযায়ী প্রোপাগান্ডা চালায়!!!
তবে এর অর্থ এটা নয় যে, সব গুলোই অসৎ! বরং সৎ ও সত্যবাদীদের সংখ্যা এতটাই অপ্রতুল যে, আমার বিবেচনায় তা হয়ত  পারসেনটিজ এ উঠে  আসবে না!!!

হাস্যকর আর গুরুত্বপূর্ণ কথা  হল সাংবাদিক হতে হলে অভ্রতে টাইপ করতে জানলে হয়, কোন সার্টিফিকেট লাগে না! ইতর প্রাণীর প্রজনন ক্ষমতা বেশী, আমাদের দেশের নিউজ পেপার আর টিভি চ্যানেল গুলোর দিকে তাকালে বুঝতে পারবেন এরা কতটা হাইব্রিড প্রজাতির ইতর প্রানি!

আবার আম জনতারও ৯০ ভাগ ই প্রচণ্ড আবেগী!  এদের প্রধান স্বভাব হল চিলের পিছনে দৌড়ানোর প্রতিযোগীতা করা!কি নিরামিষ আর কি আমিষ! তোয়াক্কা না করে যা পায় তা ই খায়!
  এ যেন জনতার রুচি ভিত্তিতে সাংবাদিকতা!ঠিক  হ্যামিলনের বাশিওয়ালার মত!
জনতা সকালে ঘুম থেকে উঠে ই পান্তা ভাতের মত এসকল র্নিলজ্জ/অন্ধ /জন্ডিসের রোগী সাংবাদিকদের লিখনি চায়ের সাথে চাবানো শুরু করে দেয় & দিন শেষে তা বিনামূল্যে বিতরণ ও করেন বেশ সফলতার সহিত! অথচ

রাসূল ﷺ  বলেছেন,
ﻛَﻔَﻰ ﺑِﺎﻟْﻤَﺮْﺀِ ﻛَﺬِﺑًﺎ ﺃَﻥْ ﻳُﺤَﺪِّﺙَ ﺑِﻜُﻞِّ ﻣَﺎ ﺳَﻤِﻊَ
-কোন ব্যক্তি মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনে (বিনা যাচাই-এ) তাই বলে বেড়ায়। [মুসলিম ভুমিকা হা/৫]
কোন রকম যাচাই বাচাই ছাড়া যারা এরুপ কাজে লিপ্ত রয়েছেন (হোক সাংবাদিক অথবা জনগন)তারা নিঃসন্দেহে মিথ্যাবাদী!

দ্বিতীয়ত্ব একটা বিষয় আমাকে বেশ আশ্চর্যান্বিত করেছে-সেটা হল, আমাদের তথাকথিত নামধারী  ইসলামী দলের  কিছু ভাইয়ের আনকোরা পোর্টাল & দেশিয় নিউজ লিংক গুলোকে পাব্লিকলি মুক্ত হস্তে  বিলিকরন!
এরা নিজেরাই কখনো দেশিয় মিডিয়ার প্রতি নুন্যতম আস্থা রাখেনা যখন তা তাদের নিজের/নিজ দলের অথবা দলীয় নেতার বিরুদ্ধে যায়!
কিন্তু এক ই প্রোপাগান্ডা  যখন আরবের বিরুদ্ধে করা হয়(বিশেষ করে সৌদিআরব)  তখন এরা  নিজেদের বিদ্বেষী চশমা টা খুলে একটু তা যাচাই-বাচাইয়ের প্রয়োজন ই বোধ করেনা! চিন্তা করুন তো-
এসব ফাসেক মিডিয়ার নিউজ কি করে আপনি চোখ বন্ধ করে গ্রহন করছেন?অথচ
মহান আল্লাহ  বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِن جَاءَكُمْ فَاسِقٌ بِنَبَإٍ فَتَبَيَّنُوا أَن تُصِيبُوا قَوْمًا بِجَهَالَةٍ فَتُصْبِحُوا عَلَىٰ مَا فَعَلْتُمْ نَادِمِينَ
-হে ঈমান গ্রহণকারীগণ, যদি কোন ফাসেক তোমাদের কাছে কোন খবর নিয়ে আসে তাহলে তা অনুসন্ধান করে দেখ৷ এমন যেন না হয় যে, না জেনে শুনেই তোমরা কোন গোষ্ঠীর ক্ষতি করে বসবে এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হবে৷[সূরা হুজুরাত ৬]

এবার নিজেকে প্রশ্ন করুন-আপনি কতটা নিলজ্জ/বেহায়া/অসভ্য /অন্ধ /গোড়া/মিথ্যুক  হলে এমন মিথ্যাবাদিদের সহযোগী হয়ে তাদের ই মিথ্যা প্রচারণায় নিজেকে শামিল করতে পারেন?

কলাম-আখতার বিন আমির
ছালালাহ-ওমান