Thursday, June 28, 2018

আল জাজিরা নিয়ে একটি নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ...!

আল জাজিরা কে নিয়ে একটি নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ -


আল- জাজিরা কাতার মালাকানাধীন একটি  চ্যানেল। বিশাল অর্থ আর বিখ্যাত কলা কৌশুলীদের দ্বারা পরিচালিত। প্রতিটি স্টাফকে দেওয়া হয় অভাবিত পুর্ব মোটা অংকের মাসোহারা। উচ্চতম সরঞ্জামদি দিয়ে সাজানো এই চ্যানেল। যে পরিমাণ অর্থ এই চ্যানেল প্রতিমাসে খরচ করে তার সামান্যতম অংশও বিজ্ঞাপন থেকে আসেনা তাদের। বরং তার এতবড় অর্থায়ন করে খোদ কাতার সরকার।


আমরা অনেকেই মনে করি আল জাজিরা হয়ত ইসলামিক চ্যানেল! কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে  আল জাজিরা কোন ইসলামিক চ্যানেল নয়। পশ্চিমা বিশ্বের বাহবা পেতে আল থানীরা (কাতারি শাসকগন)আল জাজিরাকে অশ্লীলতায় ভরে ফেলেছে। সিএনএন বা বিবিসিও এত অশালীন নয় যতটা আল জাজিরা! আল জাজিরা কি নিউজ চ্যানল নাকি দেহ প্রদর্শনীর মহড়া , চ্যানেল দেখে আপনার বুঝতে কষ্ট হবে। 

 আল জাজিরা মুলত পশ্চিমা 'নারী-পুরুষ অবাধ  সম্পর্ক' কে সহীহ ইসলাম হিসেবে প্রচার করছে। সমকামিতার কে রিপ্রেজেন্ট করার পাশাপাশি  মুসলিম উলামাদের সমকামিতা এক্সেপ্ট করাতে চাপ দিচ্ছে। ইসলামী হুদুদ এর বিরুদ্ধেও প্রোপাগান্ডা চালায় এই আল জাজিরা।


আল জাজিরায় মেহেদী হাসানের করা ইয়াসির কাদীর ভিডিও ( সমকামিতা ), ইরশাদ মানজির সাক্ষাৎকার (ইসলামিক রিফর্ম) হেড টু হেড দেখুন , তারিক রমাদান এর হেড টু হেড দেখুন ( হ্যাড পলিটিকাল ইসলাম ফেইলড )[ হুদুদ এর উপর তারিক রমাদান এর কমেন্ট দেখুন। ]

ইসলামের শত্রূরা ইসলামকে যেভাবে এডিট করতে চায় ঠিক সেইভাবে ইসলামকে এডিট করতে চায় আল জাজিরা। 

যা বিবিসি , সিএনএন এর পক্ষে সম্ভব না, ঠিক তাই করে দেখাচ্ছে এই চ্যানেল টি, রিফর্ম এর নামে ইসলামকে মৌলিকভাবে পরিবর্তন করার চেষ্টা করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত! 


ইসরাইল এর অপরাধকে তুলে ধরে, মুসলিম নির্যাতনকে হাইলাইট করে আল জাজিরা মুসলমানদের সহানুভূতি অর্জন করছে , কিন্তু একই সাথে ইসলামকে রিফর্ম করে শত্রূদের এজেন্ডাও আল জাজিরা বাস্তবায়ন করতে সক্ষত হচ্ছে; যেটা সিএনএন-বিবিসির পক্ষে সম্ভব নয়, কারণ সিএনএন বিবিসির ইসলামী মহলে কোন গ্রহণযোগ্যতা নাই। তাই একজন মুসলিম আল জাজিরাকে আন কনডিশনাল সাপোর্ট দিতে পারে না। কারণ আল জাজিরার পলিসিই কাতারের অফিসিয়াল পলিসি বলে সবাই বিশ্বাস করবে। 


ইহুদীরা প্রায় সব মিডিয়া দখল করেছে, উপরন্তু ইসলামী নামধারী অনেক মিডিয়াও কন্ট্রোল করছে ইহুদীরা ! কথিত ইসলামী মিডিয়া আল জাজিরার কেন্দ্রে পর্যন্ত বসে রয়েছে Dave Marash এর মত ইহুদীরা।


সৌদিরা যতই আনস্মার্ট হোক(তাদের ভাষায়) , কাতারীদের মতন এভাবে 'ইসলামকে চরম লংঘন করে' ইসলামকে স্টাবলিশ করতে চেষ্টা করছেনা। কাতারীদের আল জাজিরা পলিসিতে আমরা হয়ত ফিলিস্তিনকে পাবো, কিন্তু ইসলামের মৌলিক বিধানগুলোকেই হারাবো, তাহলে লাভ হলো কি?

সর্বশেষ -জাজিরা ভিজিট শেষে বিশ্ববিখ্যাত দ্বায়ী ডা.যাকির নায়েক হাফি: বলেছিলেন-"আল জাজিরা আমেরিকার ষড়যন্ত্রের একটি অংশ, এটা নিয়ন্ত্রণ করে আমেরিকা। আল-জাজিরায় আমি গিয়েছি, কাতারে তাদের  মেইন অফিসে, সেখানে অনেক উচ্চপদস্থ অফিসার তাঁদের অনেকেই মনে করেন - "আল-জাজিরাকে নিয়ন্ত্রণ করছে আমেরিকা।" 

বুদ্বিমানদের জন্য চিন্তার খোরাক রয়েছে এতে!


কলাম--আখতার বিন আমির


No comments:

Post a Comment

আহ্লুস সুন্নাহ

▌বিবাহ : কিছু পরামর্শ - [ করনীয় ও বর্জনীয় ]

❒ প্রারাম্ভিকা, বর্তমানে যুবক যুবতীদের অবস্থা হল, তারা পাপাচার করেও পরিতৃপ্ত হচ্ছে না বরং পাপাচারের নিত্য-নতুন পদ্ধতি খুঁজে বেড়াচ্ছে।...