মতিউর রহমান মাদানী, আর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী- দু জনই পরীক্ষিত দ্বায়ী। ইসলামের জন্য তাঁদের উভয়েই নিবেদিত প্রান। অথচ আমার আপনার মত অল্প বিদ্যার অধিকারী কিছু ব্যক্তি এ দুই আলেমের মাঝে বিশাল দেয়াল সৃষ্টি করছে।
আমার জানা মতে-সাঈদী হাফি:সর্বদা সত্যকে তালাশ করেছেন। ওনার বিবেচনায় যখন যেটাকে সত্য বলে মনে করতেন, তখন সেটার সামনে মাথা নত করে দিয়েছেন। এ সাঈদীই এক সময় ছিলেন চর্ম নাই পীরের মুরীদ। এমনকি শুনা যায়- 'মুক্তির মূলমন্ত্র, ইসলামী শাসনতন্ত্র' শ্লোগানটাও নাকি তাঁর দেয়া। কিন্তু যখন তিনি বুঝলেন, এরা ভন্ড; তখন তিনি তাদের ত্যাগ করলেন। ওনার এরপরবর্তী ওয়াজ মাহফিলে দ্ব্যার্থহীন ভাষায় চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন ভেদে মারেফাতের কুফরী বক্তব্য।
একটা সময় ছিল যখন
সাঈদী দাঁড়িয়ে দূরুদ পড়তেন/ হিল্লাকে হালাল মনে করতেন, বেশ কিছু জাল জইফ হাদিস বর্ননা করতেন,ইরান কে আর্দশ রাস্ট্র মনে করতেন,এমন কি খমিনিকে "ইমাম"পর্যন্তু বলেছেন!সম্মিলিত মোনাজাত/শিরকি উরদু গজলে ওয়াজ ছিল ভরপুর! যখন জানতে পারলেন এইগুলা ইসলাম বিরোধী, তখন অধিকাংশ আমল/আকিদা ই বাদ দিলেন। একবার ওনাকে একজন প্রশ্ন করেছিলো- আমরা কেন দাঁড়িয়ে মিলাদ পড়বো না? উনি খুব সুন্দর ভাবে বললেন- কারন, আল্লাহ বলেন নি, রাসূল করতে বলেন নি, সাহাবারা করেন নি। আর মানুষ পরিবর্তনশীল। নিজের ভুল বুঝতে পেরে যারা অতীতের কাজকে দূরে নিক্ষেপ করে সত্যের সামনে আত্মসমর্পন করে, তাদের দলের অন্তর্ভূক্ত সাঈদী হাফি:। সাঈদীর দিকে ইংগিত করে জুমার খুতবায় শাইখ মোযাফফর বিন মহসিন একাধিকবার বলেছেন- সাঈদী হাফি: এখন পরিপূর্ন সুন্নাত ত্বরিকায় নামায আদায় করেন। জাল হাদীসের কবলে রাসূল (সাঃ) এর সালাত বইটি পড়ে তিনি ৯ (সম্ভবত) পৃষ্ঠার মন্তব্যও লিখেন।
মানুষ মাত্রই ভুল। ভুলকারীর মধ্যে সে-ই উত্তম যে ভুল বুঝতে পারলে নিজেকে সাথে সাথে শুধরিয়ে নেয়। জনাব সাঈদী আমার বিবেচনায় তাদেরই দলে।
পর-সমাচার,
বহু আগে,(২০০৩ সালের দিকে) যখন সাঈদী মুক্ত ছিলেন, তখন ওনার বিভিন্ন আলোচনার ভুলগুলোর উপর কুরআন হাদীস মোতাবেক একটি দীর্ঘ লেকচার দেন মতিউর রহমান মাদানী। উক্ত লেকচারের শুরুতে বারবার তিনি সাঈদীকে তাঁর দ্বীনী ভাই বলে উল্লেখ করেন এবং এ লেকচারের উদ্দ্যেশ্য সবার কাছে ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেন। প্রায় ১ ঘণ্টা শুধুমাত্র জারাহ করার উদ্দেশ্য ক্লিয়ার করেন!উনি শুধু সাঈদী সাহেবেরই না, তাবলীগ জামায়াত, চর্মনাই, শর্ষিনা, ফুরফুরা ইত্যাদির ইসলাম বিরোধী কাজগুলোর উপরও কুরআন হাদীস মোতাবেক জারাহ করেন। তাই সাঈদী সাহেবের সাথে তাঁর কোন শত্রুতাঃবসত তিনি বক্তৃতা দিয়েছেন একথা বলাটা আমি মনে করি বোকামী।
সাঈদীকে নিয়ে মতিউর রহমান মাদানীর বক্তৃতা ২০০৩ সালের হলেও বিগত ৪/৫ বছরে এগুলো অধিক হারে ছড়িয়েছে। আর তখনই শুরু হলো- জামাতি কট্ররপন্থী অন্ধ সমর্থকদের কামড়াকামড়ি।
মতিউর রহমান মাদানীও মানুষ। তাঁর ভুল হওয়াও খুব স্বাভাবিক। অথচ এ বিষয় গুলোকে হাইলাইটস করে কেউ কেউ তাঁকে দাজ্জাল /মুনাফিক/দালাল প্রভৃতি আখ্যায়িত করা শুরু করলো।
আমি আগেই বলেছি- সাঈদী সাহেব না জানার কারণে আগে অনেক কিছু করতেন, যা তিনি সত্যটা জানার পর শুধরে নেন। যেমন- হিল্লা বিয়ে নিয়ে উনি আগে যে ধারনা করতেন, তা ছিলো ইসলাম বহির্ভূত। মতিউর রহমান মাদানী ওনার সে বক্তৃতার উপর আলোচনা করে সে কথাটিকে ইসলাম বিরোধী প্রমান করেন। পরবর্তীতে সাঈদী সাহেব যখন সত্যটা জানতে পারলেন, তখন তিনি ফতোয়া দিলেন আগের মত পরিবর্তন করে সম্পূর্ন কুরআন সুন্নাহ মোতাবেক। সাঈদীর কিছু অন্ধ ভক্ত মাদানী সাহেবের সে সমালোচনা এবং সাঈদী সাহেবের পরবর্তী বক্তব্য(২০০৭) একত্রিত করে মাদানী সাহেবকে মিথ্যাবাদী বানিয়ে দিলেন। এমন ঘটনা তারা ঘটিয়েছে বহু।
বড় ই হাস্যকর লাগে তখন যখন দেখি মতিউর রাহমানের ২০০৩ সালের বক্তব্য কে কারসাজি করে জামাতিরা সাইদির ২০০৬/২০০৭ সালের বক্তব্য দিয়ে রদ্দ করে! আমি জানিনা এদের উদ্দেশ্য কি সাঈদি হাফি: কে পূর্বের বিদাতি কাজ গুলোকে বৈধতা দিতেই মতিউর রাহমান কে আক্রমণ করা, নাকি শুধরে যাওয়া সাঈদি কে ব্যান্ড হিসেবে উপস্থাপন করা!
আমার বিবেচনায়- সাঈদী সাহেব এবং মাদাণী সাহেব; দুজনি দুজনের জায়গায় ঠিক আছেন। দুজনের নিয়তই সৎ। দুজন-ই ইসলামের পরীক্ষিত দায়ী। এমনো হতে পারে- আল্লাহ যদি সাঈদীকে আবার মুক্ত ফিরিয়ে আনেন, তাহলে তিনি মাদানী সাহেবকে ধন্যবাদ জানাবেন। সাঈদী ওনার মাহফিলে দ্ব্যার্থহীন ভাষায় বলেছিলেন- কেউ ওনার ভুল ধরিয়ে দিলে তা গ্রহন না করার মত ভুল তিনি করেন না। আর মানুষ মাত্রই ভুল।
শয়তানের প্ররোচনায় বা মনের কুপ্রবৃত্তির তাড়ানায় বা অল্প বিদ্যার ভয়াবহতার বাস্তব ফল স্বরূপ এ দুই বিশিষ্ট আলেমের মাঝে ভালোবাসার দেয়ালের বদলে শত্রুতার দেয়াল সৃষ্টি করছেন যারা তারা কি একটু ভেবে দেখবেন বিষয়টা????
কলাম--আখতার বিন আমির
ছালালাহ-ওমান
আমার জানা মতে-সাঈদী হাফি:সর্বদা সত্যকে তালাশ করেছেন। ওনার বিবেচনায় যখন যেটাকে সত্য বলে মনে করতেন, তখন সেটার সামনে মাথা নত করে দিয়েছেন। এ সাঈদীই এক সময় ছিলেন চর্ম নাই পীরের মুরীদ। এমনকি শুনা যায়- 'মুক্তির মূলমন্ত্র, ইসলামী শাসনতন্ত্র' শ্লোগানটাও নাকি তাঁর দেয়া। কিন্তু যখন তিনি বুঝলেন, এরা ভন্ড; তখন তিনি তাদের ত্যাগ করলেন। ওনার এরপরবর্তী ওয়াজ মাহফিলে দ্ব্যার্থহীন ভাষায় চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন ভেদে মারেফাতের কুফরী বক্তব্য।
একটা সময় ছিল যখন
সাঈদী দাঁড়িয়ে দূরুদ পড়তেন/ হিল্লাকে হালাল মনে করতেন, বেশ কিছু জাল জইফ হাদিস বর্ননা করতেন,ইরান কে আর্দশ রাস্ট্র মনে করতেন,এমন কি খমিনিকে "ইমাম"পর্যন্তু বলেছেন!সম্মিলিত মোনাজাত/শিরকি উরদু গজলে ওয়াজ ছিল ভরপুর! যখন জানতে পারলেন এইগুলা ইসলাম বিরোধী, তখন অধিকাংশ আমল/আকিদা ই বাদ দিলেন। একবার ওনাকে একজন প্রশ্ন করেছিলো- আমরা কেন দাঁড়িয়ে মিলাদ পড়বো না? উনি খুব সুন্দর ভাবে বললেন- কারন, আল্লাহ বলেন নি, রাসূল করতে বলেন নি, সাহাবারা করেন নি। আর মানুষ পরিবর্তনশীল। নিজের ভুল বুঝতে পেরে যারা অতীতের কাজকে দূরে নিক্ষেপ করে সত্যের সামনে আত্মসমর্পন করে, তাদের দলের অন্তর্ভূক্ত সাঈদী হাফি:। সাঈদীর দিকে ইংগিত করে জুমার খুতবায় শাইখ মোযাফফর বিন মহসিন একাধিকবার বলেছেন- সাঈদী হাফি: এখন পরিপূর্ন সুন্নাত ত্বরিকায় নামায আদায় করেন। জাল হাদীসের কবলে রাসূল (সাঃ) এর সালাত বইটি পড়ে তিনি ৯ (সম্ভবত) পৃষ্ঠার মন্তব্যও লিখেন।
মানুষ মাত্রই ভুল। ভুলকারীর মধ্যে সে-ই উত্তম যে ভুল বুঝতে পারলে নিজেকে সাথে সাথে শুধরিয়ে নেয়। জনাব সাঈদী আমার বিবেচনায় তাদেরই দলে।
পর-সমাচার,
বহু আগে,(২০০৩ সালের দিকে) যখন সাঈদী মুক্ত ছিলেন, তখন ওনার বিভিন্ন আলোচনার ভুলগুলোর উপর কুরআন হাদীস মোতাবেক একটি দীর্ঘ লেকচার দেন মতিউর রহমান মাদানী। উক্ত লেকচারের শুরুতে বারবার তিনি সাঈদীকে তাঁর দ্বীনী ভাই বলে উল্লেখ করেন এবং এ লেকচারের উদ্দ্যেশ্য সবার কাছে ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেন। প্রায় ১ ঘণ্টা শুধুমাত্র জারাহ করার উদ্দেশ্য ক্লিয়ার করেন!উনি শুধু সাঈদী সাহেবেরই না, তাবলীগ জামায়াত, চর্মনাই, শর্ষিনা, ফুরফুরা ইত্যাদির ইসলাম বিরোধী কাজগুলোর উপরও কুরআন হাদীস মোতাবেক জারাহ করেন। তাই সাঈদী সাহেবের সাথে তাঁর কোন শত্রুতাঃবসত তিনি বক্তৃতা দিয়েছেন একথা বলাটা আমি মনে করি বোকামী।
সাঈদীকে নিয়ে মতিউর রহমান মাদানীর বক্তৃতা ২০০৩ সালের হলেও বিগত ৪/৫ বছরে এগুলো অধিক হারে ছড়িয়েছে। আর তখনই শুরু হলো- জামাতি কট্ররপন্থী অন্ধ সমর্থকদের কামড়াকামড়ি।
মতিউর রহমান মাদানীও মানুষ। তাঁর ভুল হওয়াও খুব স্বাভাবিক। অথচ এ বিষয় গুলোকে হাইলাইটস করে কেউ কেউ তাঁকে দাজ্জাল /মুনাফিক/দালাল প্রভৃতি আখ্যায়িত করা শুরু করলো।
আমি আগেই বলেছি- সাঈদী সাহেব না জানার কারণে আগে অনেক কিছু করতেন, যা তিনি সত্যটা জানার পর শুধরে নেন। যেমন- হিল্লা বিয়ে নিয়ে উনি আগে যে ধারনা করতেন, তা ছিলো ইসলাম বহির্ভূত। মতিউর রহমান মাদানী ওনার সে বক্তৃতার উপর আলোচনা করে সে কথাটিকে ইসলাম বিরোধী প্রমান করেন। পরবর্তীতে সাঈদী সাহেব যখন সত্যটা জানতে পারলেন, তখন তিনি ফতোয়া দিলেন আগের মত পরিবর্তন করে সম্পূর্ন কুরআন সুন্নাহ মোতাবেক। সাঈদীর কিছু অন্ধ ভক্ত মাদানী সাহেবের সে সমালোচনা এবং সাঈদী সাহেবের পরবর্তী বক্তব্য(২০০৭) একত্রিত করে মাদানী সাহেবকে মিথ্যাবাদী বানিয়ে দিলেন। এমন ঘটনা তারা ঘটিয়েছে বহু।
বড় ই হাস্যকর লাগে তখন যখন দেখি মতিউর রাহমানের ২০০৩ সালের বক্তব্য কে কারসাজি করে জামাতিরা সাইদির ২০০৬/২০০৭ সালের বক্তব্য দিয়ে রদ্দ করে! আমি জানিনা এদের উদ্দেশ্য কি সাঈদি হাফি: কে পূর্বের বিদাতি কাজ গুলোকে বৈধতা দিতেই মতিউর রাহমান কে আক্রমণ করা, নাকি শুধরে যাওয়া সাঈদি কে ব্যান্ড হিসেবে উপস্থাপন করা!
আমার বিবেচনায়- সাঈদী সাহেব এবং মাদাণী সাহেব; দুজনি দুজনের জায়গায় ঠিক আছেন। দুজনের নিয়তই সৎ। দুজন-ই ইসলামের পরীক্ষিত দায়ী। এমনো হতে পারে- আল্লাহ যদি সাঈদীকে আবার মুক্ত ফিরিয়ে আনেন, তাহলে তিনি মাদানী সাহেবকে ধন্যবাদ জানাবেন। সাঈদী ওনার মাহফিলে দ্ব্যার্থহীন ভাষায় বলেছিলেন- কেউ ওনার ভুল ধরিয়ে দিলে তা গ্রহন না করার মত ভুল তিনি করেন না। আর মানুষ মাত্রই ভুল।
শয়তানের প্ররোচনায় বা মনের কুপ্রবৃত্তির তাড়ানায় বা অল্প বিদ্যার ভয়াবহতার বাস্তব ফল স্বরূপ এ দুই বিশিষ্ট আলেমের মাঝে ভালোবাসার দেয়ালের বদলে শত্রুতার দেয়াল সৃষ্টি করছেন যারা তারা কি একটু ভেবে দেখবেন বিষয়টা????
কলাম--আখতার বিন আমির
ছালালাহ-ওমান
No comments:
Post a Comment