সিরিয়া সংকট নিয়ে অনেকেই অনেক রকমের মন্তব্য করছেন!একদিকে ইরান /রাশিয়া/আসাদ বাহিনীর সম্মিলিত আক্রমন অন্যদিকে সীমান্ত এলাকায় তথাকথিত খলিফার অপারেশন আর মধ্যখানে মানবতার আহাজারি! কে কি উদ্দেশ্যে এই ধংসলীলায় মেতে উঠেছে তা নিয়ে সামান্য কয়েকটা কথা না বললেই নয়!
একটু পিছনে ফিরে দেখা....
প্রথমেই সিরিয়া সংকটে তথাকথিত খলিফার দ্বিমুখী নীতির সামান্য নজির তুলে ধরছি!
কথিত খলিফা মুসলিম বিশ্বের বিরাট জনগোষ্ঠীর কাছে ইসলামপন্থি নেতা হিসেবে পরিচিত আবার পশ্চিমাদের কাছে মডারেট নেতা হিসেবে বড়ই ‘কাছের ব্যক্তি’। তার দেশ তুরস্ক ‘নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন’ বা ন্যাটোর একমাত্র মুসলিম সদস্য। আবার যে ইসরাইলের সঙ্গে বেশিরভাগ মুসলিম দেশের সম্পর্ক নেই সেই ইসরাইলের সঙ্গে তিনি সামরিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের মাত্রা দিন দিন উচ্চ থেকে উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এই খলিফাকে নিয়ে এক শ্রেণির ‘অতি উৎসাহী’ মুসলমানের আগ্রহের শেষ নেই। অথচ তিনি যে মুসলিম বিশ্বের জন্য বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিম স্বার্থের বিপরীতে পথ হেঁটেছেন তা অনেকে বোঝারই চেষ্টা করেন না। সিরিয়াকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে যে জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তার দায় এই তথাকথিত খলিফা কি এড়িয়ে যেতে পারবেন? একদিকে বিভিন্ন সুন্নি প্রধান দেশে তিনি নিজেকে ইসলামপন্থি ও মুসলিম স্বার্থের পক্ষের ব্যক্তি হিসেবে তুলে ধরেন আবার রাফেজি শিয়া, পশ্চিমা ও ইসরাইলের জন্য তিনি তাদের স্বার্থের অনুকুলেও কাজ করেন!যারা সারা বছর আরব শাসকদের বিলাসিতার নিউজ গুলোর বুলি আওড়ায় তারা কি জানেন-
রাজধানী আঙ্কারায় ৫০ একর এলাকাজুড়ে ৩৫ কোটি ডলার খরচ করে যে পিউর হোয়াইট প্যালেস বানানো হয়েছে তা যেকোন প্রেসিডেন্টের সবচেয়ে বিলাশবহুল এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্যালেস! অথচ ভক্তগন শুধু আররদের বিলাসিতা ই দেখলেন!
সিরিয়ায় যে হত্যাযজ্ঞ চলছে তাতে শরিক হয়েছেন এই খলিফাও! সবাই আসাদের টা প্রকাশ্য দেখলেও খলিফার টা পর্দার অন্তরালেই থেকে যাচ্ছে!
অনেকেই দেখলাম আরেকটা প্রোপাগান্ডা বেশ ভালভাবে চালাচ্ছেন আর তা হল সাম্প্রতি "আফরিনে" তুর্কি বাহিনীর সাময়িক অভিযান কে কেন্দ্র করে সেটাকে আসাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে বলে চালিয়ে দিচ্ছেন!
অথচ এই কালপ্রিট গুলো জানেই না যে, ২০১৭ সালেই সিরিয়ার ইদলিব/আফরিনে যৌথ অভিযানের জন্য একমত হয়েছিলেন কুফফার রাশিয়া/ইরানি রাফেজি ও তথাকথিত খলিফা! সিরিয়া সংকটে তারা এক ও অভিন্ন অবস্থান নিয়েছিলেন!"যে ব্যক্তি ৩৭ বছর পর নিজেই কিলার আসাদের সাথে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি ই আবার তার বিপক্ষে সাময়িক অভিযান চালাচ্ছেন" তা আকাশ কুসুম চিন্তা বৈ কিছুই নয় !তাছাড়া রাফেজি শিয়াদের বিরুদ্ধে যায় এমন বৃহৎ সিদ্বান্ত নেওয়াও খলিফার পক্ষে সম্বব নয়!এজন্য ই রাফেজিদের সাথে তথাকথিত খলিফার দহরম মহরম সম্পক টা এখন দিনের আলোর মত প্রকাশ্য!
বিস্তারিত লিংক--http://english.aawsat.com/saeed-abdelrazek/news-middle-east/erdogan-confirms-turkey-russia-iran-share-stance-syrias-idlib
উপরোক্ত চুক্তির অংশ হিসেবেই আফরিনে এই সাময়িক অভিযান চলছে। আপনি হয়ত একথা জেনেই অবাক হবেন যে এতেও খলিফা ও তার বন্ধুরাষ্ট্র গুলো কুর্দি দমনের নামে হাজার হাজার কুর্দিদের পাশাপাশি আহলুস সুন্নাহকে কচুকাটা করছে! গত এক সপ্তাহে শুধুমাত্র "আফরিনে" তুর্কি বাহিনীর হামলায় প্রান গেল প্রায় ২১০ জন নিরহ মানুষের!
নিউজ লিংক--- https://www.youtube.com/watch?v=28KQSLymcuw
এইজন্য ই বলি---চোখ থেকে টিনের চশ্মা খুলুন & পর্দার অন্তরালে সাইলেন্ট কিলারদের চেনার চেষ্টা করুন...
কলাম-আখতার বিন আমির।
ছালালাহ-ওমান
একটু পিছনে ফিরে দেখা....
প্রথমেই সিরিয়া সংকটে তথাকথিত খলিফার দ্বিমুখী নীতির সামান্য নজির তুলে ধরছি!
কথিত খলিফা মুসলিম বিশ্বের বিরাট জনগোষ্ঠীর কাছে ইসলামপন্থি নেতা হিসেবে পরিচিত আবার পশ্চিমাদের কাছে মডারেট নেতা হিসেবে বড়ই ‘কাছের ব্যক্তি’। তার দেশ তুরস্ক ‘নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন’ বা ন্যাটোর একমাত্র মুসলিম সদস্য। আবার যে ইসরাইলের সঙ্গে বেশিরভাগ মুসলিম দেশের সম্পর্ক নেই সেই ইসরাইলের সঙ্গে তিনি সামরিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের মাত্রা দিন দিন উচ্চ থেকে উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এই খলিফাকে নিয়ে এক শ্রেণির ‘অতি উৎসাহী’ মুসলমানের আগ্রহের শেষ নেই। অথচ তিনি যে মুসলিম বিশ্বের জন্য বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিম স্বার্থের বিপরীতে পথ হেঁটেছেন তা অনেকে বোঝারই চেষ্টা করেন না। সিরিয়াকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে যে জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তার দায় এই তথাকথিত খলিফা কি এড়িয়ে যেতে পারবেন? একদিকে বিভিন্ন সুন্নি প্রধান দেশে তিনি নিজেকে ইসলামপন্থি ও মুসলিম স্বার্থের পক্ষের ব্যক্তি হিসেবে তুলে ধরেন আবার রাফেজি শিয়া, পশ্চিমা ও ইসরাইলের জন্য তিনি তাদের স্বার্থের অনুকুলেও কাজ করেন!যারা সারা বছর আরব শাসকদের বিলাসিতার নিউজ গুলোর বুলি আওড়ায় তারা কি জানেন-
রাজধানী আঙ্কারায় ৫০ একর এলাকাজুড়ে ৩৫ কোটি ডলার খরচ করে যে পিউর হোয়াইট প্যালেস বানানো হয়েছে তা যেকোন প্রেসিডেন্টের সবচেয়ে বিলাশবহুল এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্যালেস! অথচ ভক্তগন শুধু আররদের বিলাসিতা ই দেখলেন!
সিরিয়ায় যে হত্যাযজ্ঞ চলছে তাতে শরিক হয়েছেন এই খলিফাও! সবাই আসাদের টা প্রকাশ্য দেখলেও খলিফার টা পর্দার অন্তরালেই থেকে যাচ্ছে!
অনেকেই দেখলাম আরেকটা প্রোপাগান্ডা বেশ ভালভাবে চালাচ্ছেন আর তা হল সাম্প্রতি "আফরিনে" তুর্কি বাহিনীর সাময়িক অভিযান কে কেন্দ্র করে সেটাকে আসাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে বলে চালিয়ে দিচ্ছেন!
অথচ এই কালপ্রিট গুলো জানেই না যে, ২০১৭ সালেই সিরিয়ার ইদলিব/আফরিনে যৌথ অভিযানের জন্য একমত হয়েছিলেন কুফফার রাশিয়া/ইরানি রাফেজি ও তথাকথিত খলিফা! সিরিয়া সংকটে তারা এক ও অভিন্ন অবস্থান নিয়েছিলেন!"যে ব্যক্তি ৩৭ বছর পর নিজেই কিলার আসাদের সাথে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি ই আবার তার বিপক্ষে সাময়িক অভিযান চালাচ্ছেন" তা আকাশ কুসুম চিন্তা বৈ কিছুই নয় !তাছাড়া রাফেজি শিয়াদের বিরুদ্ধে যায় এমন বৃহৎ সিদ্বান্ত নেওয়াও খলিফার পক্ষে সম্বব নয়!এজন্য ই রাফেজিদের সাথে তথাকথিত খলিফার দহরম মহরম সম্পক টা এখন দিনের আলোর মত প্রকাশ্য!
বিস্তারিত লিংক--http://english.aawsat.com/saeed-abdelrazek/news-middle-east/erdogan-confirms-turkey-russia-iran-share-stance-syrias-idlib
উপরোক্ত চুক্তির অংশ হিসেবেই আফরিনে এই সাময়িক অভিযান চলছে। আপনি হয়ত একথা জেনেই অবাক হবেন যে এতেও খলিফা ও তার বন্ধুরাষ্ট্র গুলো কুর্দি দমনের নামে হাজার হাজার কুর্দিদের পাশাপাশি আহলুস সুন্নাহকে কচুকাটা করছে! গত এক সপ্তাহে শুধুমাত্র "আফরিনে" তুর্কি বাহিনীর হামলায় প্রান গেল প্রায় ২১০ জন নিরহ মানুষের!
নিউজ লিংক--- https://www.youtube.com/watch?v=28KQSLymcuw
এইজন্য ই বলি---চোখ থেকে টিনের চশ্মা খুলুন & পর্দার অন্তরালে সাইলেন্ট কিলারদের চেনার চেষ্টা করুন...
কলাম-আখতার বিন আমির।
ছালালাহ-ওমান
No comments:
Post a Comment