Tuesday, July 24, 2018

আল্লামাহ আলবানী রাহঃ উপর মাও.আব্দুল মালেক সাহেবের কিছু উদ্ভট অভিযোগের তাহক্বিক(পর্বঃ০২)



আলবানী (রহঃ)-এর উপর মাওলানা আব্দুল মালেক কতৃক উত্থাপিত উদ্ভট অভিযোগগুলোর বিস্তারিত তাহক্বীক্ব
আমরা গতকাল সংক্ষিপ্ত আকারে মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেবের উত্থাপিত প্রায় ৮/৯টি এমন অভিযোগ সংক্ষিপ্ত আকারে পেশ করেছিলাম যেগুলো উদ্ভট  ও ভিত্তিহীন। অভিযোগগুলো মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেব আলবানী (রহঃ)-এর বিরুদ্ধে উত্থাপন করেছেন। আমাদের সেই হালকা অবতারণার জবাব দেয়ার চেষ্টা করেছেন অনেক ভাই। আমরা তখনি বলেছিলাম এই জবাবগুলো মাকড়সার জাল। আলহামদুলিল্লাহ! আবরার নামের একজন তো জবাব দিয়ে আবার কিছুক্ষণের মধ্যে ডিলেট করে দিয়েছে। সত্যি মাকড়সার জাল এমনি হয়। আরেকজন ভাইয়ের পোস্ট এখনো আছে। তার পোস্ট অনেকেই শেয়ার করেছেন। আমরা পর্ব আকারে তার পোস্টটির জবাবসহ আমাদের দাবীগুলোকে স্পষ্ট করে তুলব ইনশাআল্লাহ।

১ম অভিযোগ: আমরা বলেছিলাম 'দলিলসহ নামাযের মাসায়েল' বইটা মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেবের সম্পাদিত। কিন্তু জবাব দাতা অস্বীকার করে বলেছেন আমাকে তার প্রমাণ দিতে হবে। অন্যথা আমি মিথ্যুক প্রমাণিত হবো।

 প্রতি জবাব: প্রথম কথা হচ্ছে, যদি মেনে নেই এই বইটি আব্দুল মালেক সাহেব সম্পাদনা করেননি তাহলেও তো আব্দুল মতিন সাহেব ও এই কিতাবটা প্রশ্ন বিদ্ধ হয়ে যায়। অথচ এই কিতাব কিনতে তাহমীদ মাওলা, আবু হাসসান রাইয়্যান, লুতফুর ফরাজিসহ অনেকেই পরামর্শ দেন।যাইহোক বইটি আব্দুল মালেক সাহেব সম্পাদনা করেননি এটা ডাহা মিথ্যা কথা। বরং 'দলিলসহ নামাযের মাসায়েল' বইটি তিনিই সম্পাদনা করেছেন। স্বয়ং লেখক মাওলানা আব্দুল মতিন বলেছেন:এবারের লেখনীর বিশেষ গুন-বৈশিষ্ট্য হলো,হযরত মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেব এটি আগাগোড়া দেখে দিয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় ও উপকারী অনেক পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা তার পরামর্শগুলো কাজে লাগিয়েছি। অনেকস্থানে তিনি সংশোধনীও দিয়েছেন। এর জন্য তার মূল্যবান ও ব্যস্ত সময়ের অনেকটা ব্যয় হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা তাকে যথাযোগ্য ও আরো বেশী জাযা দিন। (দলিলসহ নামাযের মাসায়েল, পৃষ্ঠা ৫৭,প্রকাশকাল জুন ২০১৫)কমেন্টে স্ক্রীনশট দেয়া হল।

২য় অভিযোগঃ তারা অনেকেই দাবী করেছেন। আমরা কেন খিয়ানত শব্দ ব্যবহার করলাম।

জবাবঃ আমাদের আহলে হাদীস শায়খগণের ছোট থেকে ছোট ভুল পেলে আপনাদের বক্তারা সেটা খিয়ানত বলে প্রচার করে থাকে। বিশ্বাস না হলে, তাহমীদুল মাওলা, আবু হাসসান রাইয়্যান, লুতফর ফরাযী এদের বক্তব্য শুনে দেখেন। আর মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেব আলবানী (রহঃ)-এর ক্ষেত্রে ডাইরেক্ট খিয়ানত শব্দ ব্যবহার না করলেও। বাংলায় তার প্রতিশব্দ ব্যবহার করেছেন। ইনিয়ে বিনিয়ে খিয়ানত বুঝানোর-ই চেষ্টা করেছেন।

৩য় অভিযোগঃ আব্দুল মালেক সাহেব একজন মধ্যপন্থি ব্যক্তি। তিনি উম্মাহর ঐক্যের চিন্তা করেন। আপনারা তার মত একজন মধ্যপন্থি ব্যক্তির পিছনে এভাবে লাগলেন কেন? এটা বেয়াদবী হচ্ছে।

জবাবঃ আব্দুল মালেক সাহেব মধ্যপন্থি ব্যক্তি এই ধারণা ভুল। আহলে হাদীসের মাঝে তাকে সেভাবে প্রচার করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা তার সম্পূর্ণ উল্টা। তিনি মধুর বোতলে বিষ রাখেন। নিম্নে উদাহরণ স্বরুপ তার দু‘টি বক্তব্য দেয়া হল। তিনি মিষ্টি ভাষায় আহলে হাদীছগণের উপর ছুরি চালিয়েছেন এই ভিডিও দু‘টিতে।
https://www.youtube.com/watch?v=oDl7HKFT27s&feature=youtu.be
https://www.youtube.com/watch?v=3NRWDP71VO8&feature=youtu.be

আর আব্দুল মালেক সাহেবের বিরুদ্ধে আমরা কলম ধরেছি আলবানী (রহঃ) কর্য আদায় করার জন্য। তিনি এই যুগের মুহাদ্দিসগণের ইমাম। উম্মাহর উপর আল্লাহর রহমত। বর্তমান যুগের সকল হাদীসের ছাত্র তার কাছে রিনি। এই রকম একজন মহান মুহাদ্দিসের উপর আজ থেকে ১২ বছর আগে কলম ধরেছিলেন মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেব। শুধু কলম ধরেই ক্ষান্ত হননি। এই মৃত মুহাদ্দিসের উপর কলমের মাধ্যমে খোচার পর খোচা দিয়ে গেছেন। এই ১২টা বছর তার এই খোচাগুলো, উদ্ভট অভিযোগগুলো আমাদের মনের উপর বোঝা হয়ে ছিল। আমরা শুধু সেই বোঝা সরাচ্ছি। এই মহান মুহাদ্দিসের নিষ্কলুষ সত্ত্বার উপর যে কালিমা লেপন করার  ঘৃণ্য অপচেষ্টা করেছেন মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেব আমরা শুধু তার জবাব দিচ্ছি। আমরা প্রমাণ করছি ভুল আলবানী (রহঃ)-এর নয় বরং প্রতিহিংসা বশত মাওলানা আব্দুল মালেক হয় খিয়ানাত করেছেন অথবা ভুল করেছেন।

গতকালের আলোচনার সার্বিক বিশ্লেষণঃ
১. মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেব দাবী করেছেন আলবানী (রহঃ) শুধুমাত্র একজন শায়খ থেকে ইজাযাত নিয়েছেন। এই দাবী তিনি তার সম্পাদিত দলিলসহ নামাযের মাসায়েল এবং ২০০৫ সালে প্রকাশিত অক্টোবর নভেম্বর প্রবন্ধে করেছেন। কেউ আবার বলবেন না যে, এই বই তিনি সম্পাদন করেননি। স্ক্রীন শট দেয়া আছে। আর প্রবন্ধ চাইলে খুঁজে পড়ে নিয়েন। সেই একজন শায়খের নাম তিনি দলিলসহ নামাযের মাসায়েল বইয়ে হাবিবুর রহমান আজমী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। প্রথম কথা হচ্ছে আলবানী (রহঃ) মুফতি হাবিবুর রহমান আজমী (রহঃ) থেকে ইজাযাত নিয়েছিলেন কিনা তা নিশ্চিত নয়। তবে এতটুকু নিশ্চিত যে তিনি শায়খ রাবেগ আত-তাব্বাখ  ইজাযাত নিয়েছিলেন।  হায়াতুল আলবানী ৫০৯।
আরো ভিডিও দেখুন! https://www.youtube.com/watch?v=xslrIu8L7gE 
আব্দুল মতিন সাহেবের কথা  ঠিক হলে দেখা যায় আলবানী (রহঃ) দুই জন থেকে ইজাযাত নিয়েছিলেন। কেউ দাবী করতে পারেন, আব্দুল মালেক সাহেব হয়তো শুধু মাত্র হাবিবুর রহমান আজমীর ইজাযাতের বিষয়টি জানতেন অন্যটি জানতেন না। আমরা বলব, আলবানী (রহঃ) রাবেগ আত-তাব্বাখ থেকে ইজাযাত নিয়েছেন এটাই বেশী প্রসিদ্ধ। তার জীবনী গ্রন্থ গুলোতে এটাই লিখা আছে। হাবিবুর রহমান আজমী থেকে ইজাযাত নিয়েছেন এটা আমরা আব্দুল মালেক সাহেবের মাধ্যমেই প্রথম জানতে পারলাম। আর তিনি দলীল হিসেবে যে উদ্ধৃতিগুলো দিয়েছেন সেগুলো সবই হানাফী মাযহাবের লেখকগণের বই। তাতে আরেকটি বিষয়ের সন্দেহ ঘণীভূত হয় তা হচ্ছে, আব্দুল মালেক সাহেব আলবানী (রহঃ)-এর বিষয়ে নিরপেক্ষ ভাবে জানার চেষ্টাই করেননি। হয়তো শুধু তাদের মাধ্যমেই জেনেছেন যারা চিরদিন আলবানী (রহঃ)-এর ভুল ধরেছে যা উদ্ধৃতি থেকে স্পষ্ট। নাহলে যার থেকে ইজাযাতের কথা প্রসিদ্ধ সেটাই তিনি জানলেন না এটা কেমন করে হয়। আলবানীর (রহঃ)-এর জীবনী নিরপেক্ষ কোন সূত্র থেকে পড়লে অবশ্যই জানতে পারতেন।

৪র্থ অভিযোগ:মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেব দাবী করেছেন, "হাদীস শাস্ত্রজ্ঞদের ‘ইবারত’ বোঝার ব্যাপারে আলবানী (রহঃ) অদক্ষ ও দুর্বল। দলীল হিসেবে পেশ করেছেন," আলাবনী রহ  সাকাতু আনহু শব্দ দ্বারা সর্বদা জারাহ মুফাসসার উদ্দেশ্য নেন।

জবাবঃ প্রথমত এটি একটি ডাহা মিথ্যা অপবাদ। শুধুমাত্র যখন ইমাম বুখারী বলেন ‘সাকাতু আনহু’ শুধু তখনই আলবানী (রহঃ) এটাকে জারাহ মুফাসসার মনে করেন। অথচ আলবানী (রহ:) এর ইমাম বুখারী (রহ:) এর সাথে খাস করা বিষয়টি মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেব প্রচার করলেন আলবানীর মতে যেকেউ 'সাকাতু আনহু' বললেই জারহ মুফাসসার। আর আলবানী (রহঃ)-এর এই বুঝ শুধু তিনি একা বুঝেন নি বরং ইমাম যাহাবী, ইমাম ইবনু কাসীর সহ জমহুর মুহাদ্দিসগণ এটাই বুঝেছেন। দেখুন!  (আর-রাফঊ ওয়াত তাকমীল ৬৮; ইখতিসারু উলুমিল হাদীস, পৃ.৮৯; মুক্বিযা, ৮৩)
‘সাকাতু আনহু’ ‘ফিহি নাযর’ ‘মুনকারুল হাদীস' এই শব্দগুলো যে ইমাম বুখারীর সাথে খাস তা উলুমুল হাদীসের প্রাথমিক পর্যায়ের ছাত্রও জানে। আব্দুল মালেক সাহেব এই ছোট্ট বিষয়টি জানেননা এটা ভাবতেও অবাক লাগছে। তিনি আবার কেমন মানের মুহাদ্দিছ? যাই হোক যারা জবাব দিয়েছেন তারা দাবী করেছেন আব্দুল মালেক সাহেব ‘সাকাতু আনহু’ দ্বারা জারাহ মুবহাম বুঝেন এই জন্য তিনি এই অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। আল্লাহু আকবার! আব্দুল মালেক সাহেব কে যে, তার বুঝ ধর্তব্য হবে? তিনি নিজেই তো আলবানী (রহঃ)-এর উপর এই অভিযোগ উত্থাপন করেছেন যে, শাস্ত্রজ্ঞগণের কথা ইমাম আলবানী বুঝতে পারেননি। সেই শাস্ত্রজ্ঞগণ কারা? ইমাম যাহাবী, ইমাম ইবনু কাসীর, হাফিয ইরাকী এনারা শাস্ত্রজ্ঞ না আব্দুল মালেক সাহেব শাস্ত্রজ্ঞ? যাক! আমরা দলীল দিয়েছি অতীত শাস্ত্রজ্ঞগণ এটাই বুঝেছেন যে, ইমাম বুখারীর ‘সাকাতু আনহু’ জারাহ মুফাসসার। শুধু তাই নয় আব্দুল মালেক সাহেবের স্বয়ং উস্তাদ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহও তাই বুঝেছেন। কেউ বলেছেন যে, তাহরীরু উলুমিল হাদিসের লেখক ইসুফ আল-জুদাইরের দাবী অনুযায়ী এটা জারাহ মুবহাম। আমাদের জবাব আগেরটাই। ইউসুফ জুদায়র একজন সমসাময়িক মুহাদ্দিস। তিনি অতীত কোন শাস্ত্রজ্ঞ নন। তার বুঝের কোন ধর্তব্য নাই। সুতরাং কে শাস্ত্রবিদগণের ভাষা বুঝতে ব্যর্থ আলবানী না আব্দুল মালেক তা আশা করি পাঠক-ই নির্ণয় করবে।

৫ম অভিযোগ: আব্দুল মালেক সাহেবের দাবী অনুযায়ী আলবানী (রহঃ) যে কোন রাবীর উপর অনেক সময় শুধু মাত্র তাকরীব, খুলাসা ও মিযান দেখে হুকুম লাগিয়ে দেন।
জবাবঃ এটি একটি ডাহা মিথ্যা অভিযোগ।  ইমাম আলবানী তার বিভিন্ন বইয়ে রাবীর উপর হুকুম লাগানোর জন্য যে সব  বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়েছেন তার নাম দলীল সহ দেয়া হল।
১. সিকাত ইবনু হিব্বান – সিলসিলা যঈফা, হা/ ৩৮৩।
২. আল-জারহু ওয়াত তাদীল – ইবনু আবি হাতিম। সিলসিলা যঈফা, হা/ ৩৮৩।
৩. তারীখুল কাবীর – ইমাম বুখারী। সিলসিলা যঈফা, হা/ ৩৮৩।
৪. তারীখুস সাগীর - সিলসিলা যঈফা, হা/ ৩৮৩।
শুধু একটি হাদীসের তাহক্বীক্বেই এই চারটি গ্রন্থের উদ্ধৃতি দিয়েছেন আলবানী (রহঃ) আর আল্লাহই ভাল জানে আরো কত হাদীসে কত কিতাবের উদ্ধৃতি দিয়েছেন। যেমন আরো দেখুন !
৫. লিসানুল মিযান – হাফিয ইবনু হাজার আসক্বালানী - সিলসিলা যঈফা, হা/ ৩৮৪।
৬. কুনা – ইমাম মুসলিম - সিলসিলা যঈফা, হা/ ৪৫৮।
৭. যুয়াফা – নাসায়ী । সিলসিলা যঈফা, হা/ ৪৫৮।
৮. আল-কামিল ইবনু আদী। সিলসিলা যঈফা, হা/ ৪৫৮।
এই রকম পেশ করতে থাকলে আলাদা একটা গবেষণা প্রবন্ধ লেখা লাগবে। তাহলে বুঝা যাবে কত এমন বই থেকে হয়তো আলবানী রহঃ উদ্ধৃতি দিয়েছেন।
তার অভিযোগ দেখে আমাদের বলতে হয় তিনি আলবানী (রহঃ) –এর বই কোন দিন ভাল করে পড়েন ই নি। পড়লে কোন কালেও এই মিথ্যা দাবী করতে পারেননা যে, তিনি অনেক সময় শুদু তাক্বরীব, খুলাসা ও মিযান দেখে রাবীর উপর হুকুম লাগান।

আরো আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, আব্দুল মালেক সাহেব তার এই উদ্ভট দাবী প্রমাণ করার জন্য তিন জন রাবী পেশ করেছেন তাদের উপর নাকি শুধু তাকরীব দেখে হুকুম লাগোনোর জন্য আলবানী (রহঃ) ভুল করেছেন। অথচ সত্য হচ্ছে আলবানী (রহঃ) এই রাবীগণের বিষয়ে মত পরিবর্তন করেছেন।
কেউ কেউ বলতেছেন, আব্দুল মালেক সাহেব হয়তো মতপরিবর্তনের বিষয়ে জানতেন না,
আমরা বলবো মাওলানা সাহেব আলবানীর বিরুদ্ধে এতো বড় বড় অভিযোগ করে চলেছেন অথচ পূর্ণ তাহক্বীক ছাড়াই কীভাবে তা জন সম্মুখে হাজির করে দিলেন?

এখানে আরেকটি বিষয় লক্ষণীয় যে, মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেব উদহারণ দেয়ার ক্ষেত্রে যে তিনটি উদাহরণ দিয়েছেন তার দুটিই মিশকাতের টীকা থেকে গ্রহণ করা।
আশ্রয় নিয়েছেন। অথচ মিশকাত কোন উসুলী বই নয়। আর আলবানী (রহঃ) মিশকাতে শুধু টীকা লাগিয়েছেন বিস্তারিত কিছুই লেখেননি। তার বিস্তারিত গ্রন্থ হচ্ছে ইরওয়া, সিলসিলা সহীহাহ  ও যঈফা, সহীহ আবু দাঊদ। মাওলানা সাহেব ইচ্ছাকৃত ভাবে এই বইগুলো দেখেননি না দেখেও লুকিয়ে রেখেছেন তা তিনিই ভাল জানেন। তবে এই বইগুলোতে গেলেই আলবানী (রহঃ) মতপরিবর্তন পেয়ে যেতেন। আর এটাও পেতেন যে একজন রাবীর উপর হুকুম লাগানোর ক্ষেত্রে কত বইয়ের উদ্ধৃতি আলবানী (রহঃ) দিয়ে থাকেন

No comments:

Post a Comment

আহ্লুস সুন্নাহ

▌বিবাহ : কিছু পরামর্শ - [ করনীয় ও বর্জনীয় ]

❒ প্রারাম্ভিকা, বর্তমানে যুবক যুবতীদের অবস্থা হল, তারা পাপাচার করেও পরিতৃপ্ত হচ্ছে না বরং পাপাচারের নিত্য-নতুন পদ্ধতি খুঁজে বেড়াচ্ছে।...