Saturday, July 21, 2018

ড.আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ’র কিছু পদস্খলন বিষয়ে আমাদের অবস্থান...!



আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ!
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা-র জন্য এবং অসংখ্য সলাত ও সালাম বর্ষিত হোক সর্বশেষ নাবী ও রাসূল মুহাম্মাদ ﷺ-এর প্রতি।

প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা---
আজ খুব দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে একটা স্পর্শকাতর  বিষয়ে কিছু কথা বলার জন্য আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি!
বেশ কিছুদিন যাবত আমরা লক্ষ্য করছি -চারদিকে নাম সর্বত্র কিছু "মু"তাদিল" লোকজন কর্তৃক আহলে হাদিস, সালাফি মাসলাক কে দূর্বল প্রমাণে আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে যা অত্যান্ত দুঃখজনক!
এক্ষেত্রে ওইসকল ভাইয়েরা এদেশীয় স্বনামধন্য হানাফি আলেমেদ্বীন শাইখ ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহি: কে নিজেদের "আইডল" হিসেবে উপস্থাপন করছে!
কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হল কিছু ক্ষেত্রে শাইখ রাহিমাহুল্লাহর স্পষ্ট  পদস্খলন ঘটেছে অথবা তিনি  ই'তিদাল রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন বলেই আমাদের কাছে তা প্রতীয়মান হয়েছে!

 ড.আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহঃ ছিলেন আকিদার ক্ষেত্রে একজন আপোষহীন আলেমেদ্বীন!উনার প্রজ্ঞা, মেধা, দ্বীনের খেদমত নিয়ে আপত্তি তোলার মত দুঃসাহস আমার নেই!আমি শুধুমাত্র শাইখ রাহিমাহুল্লাহ কর্তৃক  সালাফিদের উপর যেসকল অপবাদের কালিমা লেপন করে হয়েছে সেই প্রসঙ্গে সামান্য আলোচনা করব!

আমাদের স্যার রাহিমাহুল্লাহর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে
বর্তমান সময়ে কিছু উদীয়মান বক্তার বক্তব্য, লিখনীতে বেশ শৈথিল্যতা পরিলক্ষিত হচ্ছে! আম জনতা ইলমের ঘাটতির কারণে সেই শৈথিল্যতাকে  আবার "মধ্যমপন্থা" বলে আখ্যায়িত করে নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন! মুলত ইক্বতিসাদ বা মধ্যপন্থা হলো -
তাওয়াসসুত (মাঝখানে অবস্থান নেয়া)
ই’তিদাল (উদারতা),
রুশদ (প্রত্যক্ষতা) এবং
 ইসতিক্বামাহ (দৃঢ় প্রক্ষতা)

দ্বীনের মধ্যে মু’তাদিল হলো সেই ব্যক্তি যে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার আদেশসমূহ মেনে চলে এবং এটা থেকে তাফরীত বা ইফরাতের দিকে বিচ্যুত হয় না। এ প্রসঙ্গে  আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেনঃ
“তারা মধ্যপন্থা (ইক্বতিসাদ) অবলম্বনকারীদের অন্তর্গত, কিন্তু তাদের অনেকেই মন্দ কাজে লিপ্ত।”[সূরা আল মা’য়িদাহঃ ৬৬]

এর তাফসীর হলো এটি একটি উম্মাহ মুতা’দিলা, যে তার প্রভূর আদেশ মেনে চলছে অর্থাৎ আল্লাহর আদেশ মানার ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন করছে।  ফাইওয়ুমি তার ‘আল মিসবাহ আল মুনির’ এ উল্লেখ করেন যে, “কাসাদাহ ফিল আমর কাসদান অর্থ হলো হুকুমের ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক দলিলটি অন্বেষণ করে মধ্যপন্থা অবলম্বন করা এবং সীমা অতিক্রম না করা।”

পর ___ সমাচারঃ---
কিছুদিন আগে আমাদের অত্যন্ত প্রিয় স্যার ড.আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর  রাহিমাহুল্লাহ’র একজন ছাত্র লিখেছে, “এদেশের অধিকাংশ আলেমরা যেখানে একে-অপরের বিরুদ্ধে ফতোওয়াবাজিতে লিপ্ত সেখানে তিনি (স্যার রাহি:) খ্রিস্টান মিশনারীদের বিরুদ্ধে দিনের পর দিন পরিশ্রম করেছেন। এবং উম্মতের ঐক্যের জন্যও চেষ্টা করেছেন!”

লেখক আমাদের দেশের অধিকাংশ আলেমদের এই বলে সমালোচনা করেছেন যে, “তারা শুধু একে-অপরের বিরুদ্ধে কাঁদা ছোঁড়াছুড়িতে ব্যস্ত।”

এমন অনেক লোকই বর্তমানে রয়েছে, যারা ‘জারহ ও তা’দীলের’ ইলমকে পছন্দ করেনা, শিরক ও বিদআতের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়া এবং গোমরাহীতে লিপ্ত বক্তাদের বিরুদ্ধে মুসলিমদেরকে সতর্ক করার মানহাযে বিশ্বাসী নয়। অবশ্য তাদের এই অবস্থানের পক্ষে তারা বিভিন্ন যুক্তি বা কারণ দেখিয়ে থাকে, তবে মূলত এর প্রধান কারণ হচ্ছে অজ্ঞতা। ফেইসবুক, ইন্টারনেটে এমন কিছু ব্যক্তি রয়েছে, যারা সালাফী মানহায সম্পর্কে জানেনা, বা জানলেও তার বিরোধীতা করে। অনেক সালাফী / আহলে হাদীছ ভাইয়েরা তাদের লেখনি নিয়মিত পড়ে, লাইক-শেয়ার করে অথচ তারা তা ধরতে পারেনা যে, তারা যাদের লেখা পড়ছে মূলত তারা সালাফী মানহাযের বিরোধীতাকারী। এভাবে এক সময় আস্তে আস্তে ওইসকল লেখকের প্রতি আকৃস্ট হয়ে নিজেরাও সালাফী মানহাযের সাথে শত্রুতা পোষণকারী হয়ে যায়, যা তারা নিজেরাও বুঝতে পারেনা।
যাই হোক, আমি উপরে স্যার রাহঃর ছাত্রের যেই বক্তব্য তুলে ধরলাম, চলুন দেখি এই বক্তব্য কতটুকু সঠিক আর কতটুকু ভুল!!!

আমাদের স্যার রাহিমাহুল্লাহকে এক ব্যক্তি প্রশ্ন করেছিল
শাইখ “আমি তাবলীগ জামআতের সাথে তিন দিনের চিল্লায় যাওয়ার জন্য মানত করেছিলাম। এখন আমাকে এই মানত পূরণ করতে হবে কিনা।”

উত্তরে স্যার রাহি: বলেন, “জায়েজ কোন কাজ মানত করলে তা পূরণ করা ওয়াজিব হয়ে যায়. . .সুতরাং আপনি তিন দিনের চিল্লার মানত পূরণ করুন।”
সূত্রঃ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক অনুষ্ঠানের প্রশ্নোত্তর এটি!
ইউটিউব লিংক---https://youtu.be/Tc26JP2XVls

আমরা সকলেই স্যার রাহিমাহুল্লাহর বক্তব্যের প্রথম অংশকে সঠিক মনে করি!  কারন - “জায়েজ যেকোন কাজের মানত করলে তা পূরণ করা ওয়াজিব হয়ে যায়" এক্ষেত্রে কারো কোন আপত্তি নেই!
কিন্তু পরের অংশে “আপনি তিন দিনের চিল্লার মানত পূরণ করুন” - এটা ভুল এবং আপত্তিকর! কারণ হারাম কোন কাজের মানত করলে সেই মানত পূরণ করা যাবেনা এটাই আহলুল ইলমদের প্রায় সকলেরই অভিমত!

তাবলীগ জামআতের সাথে চিল্লা দেওয়া যাবে কিনা এ নিয়ে আল্লামাহ সালেহ আল-ফাওযান হা'ফিজাহুল্লাহর ফাতওয়া হচ্ছেঃ
“এটা জায়েজ নয়, কারণ এটা একটা বিদআ’ত! এভাবে বেড়িয়ে যাওয়া ৪০ দিন, ৪ দিন, ৪ মাস এটা হচ্ছে বিদআ’ত। এটা প্রমাণিত যে, তাবলিগ জামআত হচ্ছে ভারতীয় দেওবন্দীদের মধ্য থেকে একটি “সূফী” জামআত। তারা একদেশ থেকে অন্যদেশে যায় তাদের “সূফীবাদ”কে  প্রচার করার জন্য। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামআতের অনুসারী কোন ব্যক্তি, তাওহীদের অনুসারী কোন ব্যক্তির জন্য এটা জায়েজ নয় যে, তাদের সাথে তাবলীগে বেড়িয়ে পড়া। কারণ সে যদি এদের সাথে যায় তাহলে সে তাদেরকে বেদাত প্রচার করতে সাহায্য করলো।”
লিংক----https://youtu.be/eDz8GBldbw4
শুধু আল্লামা ফাওযান-ই নয় বরং একাধিক কিবার এই জামআত কে কঠোরভাবে রাদ্দ করেছেন যা প্রবন্ধ সংক্ষিপ্ত করার কারণে উল্লেখ করলাম না!

দেখা যাচ্ছে, উপরের প্রশ্নের উত্তরে স্যার রাহি: শিথিলতা দেখাতে গিয়ে স্পষ্ট ভাষায় তাবলীগ জামআতকে পথভ্রষ্ট একটি দল এবং তাদের সাথে চিল্লাতে যাওয়া যাবেনা বলেন নি! বরং, তিনি তাদের কিছুটা সমর্থন করেছেন এবং তাদের সাথে চিল্লাতে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন!

মুলত উনার এমন কিছু লিবারেল অবস্থানের  কারণে অনেকেই এই বলে প্রশংসা করে বলেন যে “আমাদের দেশের অধিকাংশ আলিমরা যেখানে একে-অপরের বিরুদ্ধে কাঁদা ছোঁড়া-ছুড়ি করে, সেখানে স্যার রাহিমাহুল্লাহ এমন করেন নি”!
বিদআতী দল এবং ব্যক্তিদের ব্যাপারে এমন নরমপন্থার নীতিকে অনেকেই তাদের আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করছে এবং এর বিপরীতে সালাফী মানহাযের সমালোচনায়  একথা চারদিকে বলে বেড়াচ্ছে যে, "সালাফীরা বাড়াবাড়ি করে অথবা তারা মধ্যমপন্থী নয়!!!


এবার মুল বিষয়ে আসা যাক :
একদা এক মাহফিলে স্যার রাহি: কে এক লোক প্রশ্ন করেছিল যে, কিছু কিছু ভাইয়েরা হানাফী ইমামদের কাফির বলে!!! আবার ঐ ইমামদের পিছনে সালাতও পড়ে তাদের ব্যাপারে হুকুম কি?

একটু খেয়াল করুন প্রশ্নকর্তার প্রশ্নের মধ্যেই কিন্তু খণ্ডন রয়েছে! যদি হানাফী ইমামকে "কাফির" ই বলবেন তাহলে ওই কাফিরের পিছনেই আবার সালাত কেন আদায় করবেন? এটা ছিল মুলত প্রশ্নকর্তার চালাকী! কিন্তু স্যার রাহি:র উত্তর টা শুনে আমি এক্কেবারেই থমকে গেলাম!
তিনি উত্তরে বলেন--- "আহলে হাদীছদের অনেক কাজ-ই ভাল, তারা সহীহ হাদীছ মানার চেষ্টা করেন (যদিও প্রশ্নকর্তা "আহলে হাদীছ " নামটা মেনশন করেন নি) কিন্তু ফিক্বহি মাসআলাসমূহকে এরা দ্বীন বানিয়ে ফেলেছে! তারা বলে "রাফউল ইয়াদাইন" না করলে সালাত হবেনা আবার যারা মাযহাব মানে তাদেরকে "কাফির" বলা সবচেয়ে ভয়ংকরতম কাজ! (ইন্নানিল্লাহ)

প্রথমত্ব, আমি এমন কোন মুল ধারার সালাফী আলেমকে চিনি না যারা বলে "রাফউল ইয়াদাইন" না করলে ছালাত হবেনা বরং আল্লামা বিন বায রাহি: তো স্পষ্ট বলেছেন হাত ছেড়ে দিয়েও ছালাত পড়লে তার সালাত হয়ে যাবে! একই ভাবে সাব-কন্টিনেন্টেও বহু সালাফী আলেমের মতামত হল এই সুন্নাতগুলো ছেড়ে দিলেও ছালাত হয়ে যাবে তবে ছাওয়াবের তারতম্য হবে! অর্থাৎ যত সুন্নাত ছাড়বেন ততই ছাওয়াব কমতে থাকবে!
তাছাড়া স্যারের একাধিক আলোচনা থেকেও বুঝা যায় যে,  রাফউল ইয়াদাঈন সুন্নাহ' দ্বারা সাব্যস্ত তাহলে তা না করার  উসূল কি ঐ মাযহাবী গোঁড়ামি নয় ?

দ্বিতীয়ত্ব, যারা মাযহাব ফলো করে আহলে হাদীছরা তাদের "কাফির" বলে এটা এই প্রথম শুনলাম! গণহারে সমস্ত মাযহাবী দের তাকফির করা তো আহলে হাদীছদের মানহাযের খেলাফ! কোন ব্যক্তি/দল অথবা নির্দিষ্ট জামআতকে "তাকফির করার ক্ষেত্রে আহলে হাদীছরাই সবচেয়ে বেশি সর্তকতা অবলম্বন করে অথচ এই "তোহমত"  কিভাবে উল্টো তাদের গায়েই লেপন করে দিলেন তা আমার  বোধগম্য হল না (আল্লাহ তাআলা শাইখ কে ক্ষমা করুন)।
আমি একজন সালাফী আলেমকেও চিনি না যিনি সমস্ত মাযহাবীদেরকে (অন্তত প্রসিদ্ধ চার মাযহাব) "কাফির" ফাতওয়া দিয়েছে! মুলত এমন সব বক্তব্যের কারণে মানুষের অন্তরে সালাফীদের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি হয়!এটা ইনসাফপূর্ন বক্তব্য নয় বরং ইনসাফ করতে গিয়ে তীরে এসে তরি ডুবানো!
বক্তব্যের লিংক-https://youtu.be/yc9AfxSCF_U

তাছাড়া আরেকটি ওয়াজে (৪/৫ বছর আগে শুনেছিলাম) হানাফী ও আহলে হাদীছদের বাড়াবাড়ি নিয়ে বলতে গিয়ে  এক পর্যায়ে শাইখ রাহঃ বলেছেন- "আহলে হাদীছরাও বুকে হাত না বাঁধলে, জোরে আমিন না বললে কাফির বলে" যা খুবই দুঃখজনক!!!(ইন্নানিল্লাহ )!

মজার বিষয় হচ্ছে -এই সুন্নাতগুলো ছেড়ে দিলে কি কেউ ঈমানহারা হয়? এছাড়া এগুলোর উপর ডিফেন্ড করেও তো তাকফির সাব্যস্ত হয় না এটা একজন সাধারণ ত্বলিবুল ইলমও জানে!
মুলত সালাফীদের উপর এসব অপবাদ  নতুন নয় বরং এর আগেও আল-কায়েদা প্রমোটার চরমপন্থী জসিম উদ্দিন রাহমানি এমন মিথ্যা অপবাদ লাগিয়েছিল এবং তখনি তার কঠোর জবাব দিয়েছিলেন শাইখ আব্দুল্লাহ আল কাফি ও শাইখ মতিউর রাহমান মাদানি হাফি:
লিংক---https://youtu.be/LVcRdQ5OYwk

বিঃদ্রঃ
(১) “আলেমরা একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি করে” এই কথা যারা বলে এদের ব্যাপারে সাবধান হোন। একজন আলেম আরেকজন আলেমের ভুল ধরেন, এটা খুব স্বাভাবিক এবং এর অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু এই বিষয়টিকে “কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি করার” মতো নীচু মানের ভাষা দ্বারা বর্ণনা করা আপত্তিকর, এবং তা একজন ব্যক্তির ইলমহীনতার পরিচায়ক। এভাবে এরা মূলত আলেমদেরকেই তুচ্ছ করে।

(২) ড.আব্দুল্লাহ জাহাংগীর রাহিমাহুল্লাহর ভুল ধরা, তার ব্যাপারে মানুষকে সতর্ক করা -  এই লেখার উদ্দেশ্য মোটেও তা নয় বরং আমি বলবো বাংলাভাষী প্রত্যেক ত্বলিবুল ইলমের উচিত একবার হলেও উনার লিখিত বইগুলো পড়া। স্যার রাহিমাহুল্লাহর কিছু গুণ ছিলো যা সত্যিই প্রশংসনীয়, এবং আমাদের সবার জন্য অনুকরণীয়। আমরা দুআ করি আল্লাহ তায়ালা তাঁর সমস্ত দোষ-ত্রুটি ক্ষমা করে তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন। তবে উনার কিছু বিষয়ে পদস্খলন ঘটেছে , যার কয়েকটা উদাহরণ উপরে দেওয়া হলো। তবে আমাদের চিন্তার বিষয় হচ্ছে, তাঁর ভুল-ত্রুটিগুলোকে কিছু মানুষ আদর্শ বলে মনে করে, সেইগুলোকে তাদের মানহায হিসেবে গ্রহণ করছে। আমরা এমন অজ্ঞতা এবং অন্ধভাবে কোন ব্যক্তির অনুসরণের বিরোধী।

(৩) মধুর বোতলে বিষ মিশিয়ে সালাফীদের উপর কেউ অভিযোগ তুললেই অনেকেই সেটা প্রচার/প্রসারে লেগে যান কিন্তু একটু যাচাই করার চিন্তাও করেন না! যা একেবারেই গর্হিত কাজ!

পরিশেষে দুআ করি আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে হাক্ব কে হাক্ব হিসেবে মেনে নেওয়ার তাওফীক্ব দিন। আমিন!

লেখকঃ আখতার বিন আমির
ছালালাহ,ওমান।

No comments:

Post a Comment

আহ্লুস সুন্নাহ

▌বিবাহ : কিছু পরামর্শ - [ করনীয় ও বর্জনীয় ]

❒ প্রারাম্ভিকা, বর্তমানে যুবক যুবতীদের অবস্থা হল, তারা পাপাচার করেও পরিতৃপ্ত হচ্ছে না বরং পাপাচারের নিত্য-নতুন পদ্ধতি খুঁজে বেড়াচ্ছে।...